কখনও আয়নায় তাকিয়ে ভেবেছো—ওটা কি শুধু তোমার প্রতিচ্ছবি? নাকি ওটা কেউ... অন্য কেউ? একজন মেয়ের জীবনে এমন কিছু ঘটতে থাকে, যা তার বাস্তবতা ও প্রতিচ্ছবির মাঝের পার্থক্য ঘোলাটে করে তোলে।
তৃষা, একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী, সদ্য নতুন ফ্ল্যাটে উঠেছে ঢাকার একটি পুরনো এলাকার বাসায়। ঘরটা ভাড়া কম ছিল, আর ভেতরে আসবাবসহ সবকিছু প্রায় নতুন। শুধু একটা জিনিস ছিল অদ্ভুত—ড্রইংরুমে রাখা বিশাল একটা আয়না।
প্রথম কয়েক দিন সব কিছু স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু এরপর এক রাতে, তৃষা দেখল—আয়নার ওদিকে দাঁড়িয়ে থাকা "নিজেকে"—তার চোখের চাহনি কেমন যেন অন্যরকম।
সেই রাতেই সে অনুভব করল—ঘরের মধ্যে কে যেন হেঁটে বেড়াচ্ছে। দরজা বন্ধ, জানালা বন্ধ—তবু যেন নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পায়।
পরদিন সকালে সে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছিল, হঠাৎই তার প্রতিচ্ছবিটি এক সেকেন্ড আগে নড়ল। যেন আয়নায় যে আছে সে সময়ের চেয়ে এগিয়ে!
সেই রাতে তৃষা ঘুমাতে পারেনি। হঠাৎ আবার সেই আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখে—আয়নার মধ্যে তার প্রতিচ্ছবির ঠোঁট নাড়ছে, কিন্তু সে কিছু বলছে না। তৃষা ভয়ে পিছিয়ে যায়।
পরদিন সে আয়নাটি সরাতে চায়, কিন্তু আশ্চর্যভাবে—ওটা নড়েই না। আয়নার চারপাশের দেয়াল ঠান্ডা, যেন জী
এক সপ্তাহ পরে, তৃষার বন্ধু মেহরাব তার খোঁজ নিতে আসে। দরজা বন্ধ, জানালা বন্ধ।
ভেতরে ঢুকে সে দেখে—ঘর ফাঁকা। তৃষার কোনো চিহ্ন নেই।
শুধু ড্রইংরুমে রাখা সেই আয়নাটা এখনও আছে।
আর আয়নার ভেতরে... তৃষা তাকিয়ে আছে বাইরে।
সে সাহায্যের জন্য চোখ তুলে চেয়ে আছে।বন্ত কিছু।
0 Comments