বাংলাদেশের মানচিত্রে নেই এমন একটি গ্রাম, যেখানে কেউ প্রবেশ করলে ফিরে আসে—but কিছু একটা বদলে যায়। নিজেকে চেনা যায় না। কেউ বলে ওটা অভিশপ্ত এলাকা, কেউ বলে ওটা “হারিয়ে যাওয়া পাতা”।
রায়হান একজন তরুণ সাংবাদিক, রহস্যময় কেস খুঁজে বেড়ানোই তার প্যাশন। একদিন সে পায় একটি অদ্ভুত চিঠি—কোনো প্রেরকের নাম নেই, শুধু লেখা—
> "তুমি যদি সত্য জানো, তাহলে 'পাতার গ্রাম' খুঁজে বের করো। ওখানে যা লুকানো আছে, তা শুধু সাহসীদের জন্য।"
রায়হান তথ্য খুঁজতে থাকে, কিন্তু বাংলাদেশের কোনো মানচিত্রে পাতার গ্রাম নামে কিছু নেই। অবশেষে এক বুড়ো লোক জানায়—সেটা কোনো ম্যাপে নেই, কারণ ওটা “নিজেকে লুকাতে জানে”।
জেদ করে রায়হান বের হয় যাত্রায়। বন, নদী আর ঝোপঝাড় পেরিয়ে অবশেষে সন্ধ্যায় সে পৌঁছায় পাতার মতো ঘাসে ঢাকা একটা ছোট্ট গ্রামে। আশেপাশে কোনো শব্দ নেই, শুধু পাখিরা হঠাৎ একসাথে চুপ করে যায়।
গাঁয়ের লোকেরা স্বাভাবিক, কিন্তু সবার চোখে এক ধরনের ফাঁকা ভাব। যেন তারা কেউ নিজের নাম মনে করতে পারে না। “আপনার নাম কী?”—এই প্রশ্নে তারা থেমে যায়। হেসে ফেলে, আবার হেঁটে যায়।
পরদিন সকালে, শহরের রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে এক যুবক। তার পোশাক ময়লা, চোখ ফাঁকা, আর মুখে একটা মৃদু হাসি। কেউ চিনে না তাকে।
লোকেরা তাকে জিজ্ঞাসা করে—
“তুমি কে?”
সে থামে, ভাবে... তারপর হাসে।
“আমার নাম... আমি জানি না।”
রায়হান এক কুটিরে ঢুকে দেখে—সব কিছু পরিচ্ছন্ন, কিন্তু কোথাও একটি আয়না নেই। হঠাৎ সে দেখে দেয়ালে একটা পুরনো ফ্রেম, যেখানে তার নিজের একটা ছোটবেলার ছবি!
সে ভয় পেয়ে উঠে পড়ে, দৌড়াতে শুরু করে গ্রামের বাইরে। কিন্তু যত দৌড়ায়, ততই ফিরে আসে সেই একই জায়গায়।
0 Comments